ভাঙা সংসার জোড়ার ব্যবস্থা করলেন হাইকোর্ট
মানসিক দ্বন্দ্ব দূরত্ব তৈরি করেছিল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে। যে দ্বন্দ্ব প্রভাব ফেলছিল সন্তানের ওপর। কারণ, জন্মের পর থেকে গত ১০ মাস সন্তানকে দেখতে দেওয়া হচ্ছিল না বাবা কাজী মহিউদ্দিনকে। এমন অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রিট পিটিশন জারি করেন মহিউদ্দিন। সেই অভিযোগে ও আদালতের নির্দেশে সন্তানকে নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হন মা সাদিয়া সুলতানা। পরে সন্তানের কথা ভেবে ভাঙতে বসা সংসার জোড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশে স্বামী-স্ত্রীকে একটি কক্ষে কথা বলার সুযোগ দেন আদালত। সেখানে তারা নিজের মধ্যে কথা বলেন। পরে আদালতকে জানান, তাদের মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্বে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে কথা ভেবে তারা এটি সমাধানের চেষ্টা করবেন। এ সময়ের মধ্যে কাজী মহিউদ্দিনকে তার সন্তান দেখতে দেওয়া হবে।
এ সময় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সন্তানকে তার মায়ের বাসায় গিয়ে দেখার জন্যে বলেন আদালত। সেই সঙ্গে বাচ্চার কথা বিবেচনা করে নিজেদের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পরামর্শও দেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এ সময় বাবা-মা দুজনেরই সংসার জোড়ার বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে হাইকোর্ট খুশি হয়ে তাদের দুজনকে চকলেট দেন। একইসঙ্গে ছয় মাস পর তাদের অবস্থা সম্পর্কে আদালতকে জানাতে বলেন। এ সময় আদালতে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।