৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল!
প্রতিদিন ৪০টি গরুর মাংস কেজিদরে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছিলেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যবসায় খলিল। এতে তাকে গুনতে হয়েছে লোকশান। যদিও সেই একই দামে তিনি মাংস বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে, গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার গরুর সংখ্যা এনেছেন কমিয়ে; বিক্রি করবেন ২০টির মাংস। সময়ও এনেছেন কমিয়ে। জানিয়েছেন, তার দোকানে সকাল ৭টায় থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিক্রি চলবে। তবে, দাম একই–প্রতি কেজি ৫৯৫ টাকা।
আজ রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল।
যদিও একই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
ভোক্তার ডিজি বলেন, গত বছরের শেষদিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেওয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। তিনি বলেন, রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। মাংস কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসেছে তাদের দোকানে। সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল।
‘গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণে মাংসের দাম বেড়ে গেছে’ উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, তাদের (খলিল-নয়ন) পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
পরে খলিল জানান, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করব। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।