জমির দাবিতে বাবার কবরে শুয়ে দাফনে বাধা
নীলফামারীতে জমির দাবিতে কবরে শুয়ে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বাটুলটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গোটা জেলায় মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মজিবর রহমান (৬৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ শুক্রবার বাড়ির পাশে সকালে কবরস্থানে দাফনের আগে ছেলে নওশাদ আলী (৩৫) জমির দাবিতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। পরে নতুন কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করা হয়।
ইউপি সদস্য মাহাবুব রহমান জানান, মজিবর রহমানের প্রথম স্ত্রীর চার ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় আট বছর আগে মজিবর রহমান প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের কাছে তিন শতক জমি বিক্রি করেন। তবে সেই জমি রেজিস্ট্র করা হয়নি ওই সময়। মজিবর রহমানের মোট ১০ শতক জমি ছিল। তার মধ্যে ২ শতক তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে ৫ শতকসহ মোট ৭ শতক লিখে দেন। ৩ শতক জমি তিনি রেখে দেন। মজিবর রহমান ও তার ছেলে নওশাদ আলীর মধ্যে ছয় বছর আগে গণ্ডগোল হয়। তখন থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। মজিবর রহমান পাঁচ-ছয় বছর ধরে অসুস্থ। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি নীলফামারী হাসপাতালে মারা যান। আজ সকাল ১০টায় তাঁর দাফন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নওশাদ জমির দাবিতে তার বাবার দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। সেই কবরে প্রায় ১৫ হতে ২০ মিনিটের মতো শুয়ে ছিলেন। এরপর পুলিশ এলে তিনি কবর থেকে উঠে আসেন। এরপর পাশেই নতুন করে কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করা হয়। তবে মজিবর রহমানের অন্য ছেলেরা জমির দাবি করেনি। তারা নওশাদকে কবর থেকে উঠার জন্য বার বার অনুরোধ করেছেন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছেলে কবর থেকে উঠে পালিয়ে যান। পরে পাশেই কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করা হয়।