ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন : মেয়র আতিক
ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক র্যালি আয়োজন করা হবে।’
আজ রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর ভাসানটেক এলাকায় রমজান উপলক্ষে ডিএনসিসির উদ্যোগে এবং চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ভাসানটেক বস্তিতে বসবাসকারী এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
এক হাজার জনের প্রত্যেককে ৮ কেজি মিনিকেট চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি পেঁয়াজ, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, হলুদ ও মরিচের গুঁড়ার ১০০ গ্রাম প্যাকেট এবং ১ প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “ভাসানটেক বস্তিবাসীদের পরিকল্পিত পুনর্বাসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ভাসানটেক বস্তির পরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে একাধিকবার আলাপ করেছি। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত বস্তি উচ্ছেদ করা হবে না। বস্তিগুলোতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ মহাখালী সাততলা বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ভাসানটেক বস্তিতেও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করে দিব।”
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসাবাড়ির জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে। তাই ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।’
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ নজর দেবেন। ঈদ শেষে ফিরে এসে খেয়াল রাখবেন কোথায়ও পানি জমে রয়েছে কিনা। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হলে ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাব।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি জনগণের নিকট হতে নগদমূল্যে সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। চিপসের প্যাকেট/সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবল গ্লাস/কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা, ডাবের খোসা (প্রতিটি) ২ টাকা, মাটি/প্লাস্টিক/মেলামাইন/সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) ৩ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০ টাকা, কনডেন্সড মিল্কের কৌটা (প্রতিটি) ২ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড/বেসিন ইত্যাদি (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কিনে নিবে ডিএনসিসি।’