ময়মনসিংহে কিশোরীর শরীরে ফুটন্ত পানি নিক্ষেপ, চাচা গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীর শরীরে ফুটন্ত পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেনকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানায় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে ইশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রামে শহীদ মিয়া ও তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনের মধ্যে আগে থেকেই পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সেদিন আমগাছের চারা লাগানো নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার চুলায় থাকা গরম পানি ঢেলে দেন শহীদ মিয়ার মেয়ে মাদরাসাছাত্রী সালমা আক্তারের (১৬) শরীরে। এতে তার কোমর থেকে বাম পা পর্যন্ত অনেক স্থানে ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. লিমন কুমার ধর বলেন, ‘দগ্ধ মাঝারি ধরেনের হলেও ক্ষত হয়েছে বেশ। তার সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা শহীদ মিয়া তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন (৪৩) ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে(৩৮) আসামি করে সোমবার থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’