পছন্দের নারীকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায়। যেখানে রেকর্ড পরিমাণ ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। টাকার বস্তায় বাংলাদেশি টাকার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণের গয়নাও আছে। অন্যবারও একই ঘটনা ঘটে। তবে, এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এমন একটি চিঠি পাওয়া গেছে, যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিরকুট লিখেছেন।
দানবাক্সের ওই চিঠিটি হবিগঞ্জের এক ব্যক্তির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি, কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, আল্লাহ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন।’ এরপর চিঠিতে ওই মেয়ের ও নিজের নামপরিচয় উল্লেখ করা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে আজ দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মোমতাজসহ ছয়জন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাগলা মসজিদ ও মাদ্রাসার ৩৪ জন শিক্ষক ও ১০২ জন ছাত্র টাকা গণনা শুরু হয়।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত হোসেন চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গণনা করে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে পাগলা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। টাকা পাওয়ার নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর মসজিদের ৯টি দানবাক্সের ২৩ বস্তা টাকা থেকে রেকর্ড ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা প্রাপ্তি ছিল। তবে, আজ সাত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।