পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর মামলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু ও নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২টায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এরমধ্যে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সীমানা জটিলতা ও মামলার কারণে তেওয়ারীগঞ্জসহ সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩ বছর নির্বাচন স্থগিত ছিল। তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুলু জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি। নির্বাচনে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে তিনি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাউসার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ভুলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে থানার এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী বোরহান চৌধুরী ভোট কম পাওয়ায় তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ সময় তারা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলমের গাড়ির সামনের গ্লাসের কাঁচ ভেঙে যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট, চার রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল এবং দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসার সময় এক পক্ষ পুলিশকে বাধা দেয়। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরি অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে রাতে চেয়ারম্যান ভুলুকে আটক করে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘তেওয়ারীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ পৃথক ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান ভুলুসহ দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে বোরহান চৌধুরীকে আটকের গুঞ্জন ছড়ালেও আমরা তাঁকে আটক করিনি।’