রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন : আইওএমকে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল বাড়াতে নতুন অংশীদার খুঁজতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যেহেতু রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা হ্রাস পেয়েছে, তাই আইওএমের উচিত তাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য নতুন অংশীদার সন্ধান করা।’
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আইওএম মহাপরিচালক রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরে আইওএমকে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাসানচরে প্রায় এক লাখ মানুষের জন্য আত্মকর্মসংস্থান, তাদের সন্তানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোসহ আবাসন ও জীবিকার সুবিধা রয়েছে।’
ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে আইওএম মহাপরিচালক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে এবং কক্সবাজারের জনাকীর্ণ শিবিরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন গ্রুপ ও উপগ্রুপে বিভক্ত। তাই তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ছাড়া রোহিঙ্গারা সংখ্যায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই সেখানে সীমিত সম্পদের জন্য দ্বন্দ্ব রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’