নিলামে উঠছে মোংলা বন্দরের ১০৭ গাড়ি
জাপান থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা নামিদামি ব্র্যান্ডের ১০৭টি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। এ নিলামে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।
নিলামে অংশগ্রহণকারীরা আগামীকাল বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিট করতে পারবেন।
নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছেন নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি গাড়ি। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে।
গতকাল সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করে। অনলাইনে প্রকাশ পাওয়া গাড়ি ছাড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও নিলাম করা হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি। এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিাধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’