মালয়েশিয়ায় যেতে না পেরে সোহেলের আত্মহত্যা, পরিবারের পাশে বিএনপি
যথাসময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত হয়েও সিন্ডিকেটের প্রতারণায় বিদেশে যেতে না পেরে হতাশ ছিলেন মালয়েশিয়াগামী সোহেল তানভীর। পরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আজ রোববার (৯ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতে তার পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এ সময় সোহেলের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
এ সময় সোহেলের বাবা মেরাজ মোল্লা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, এভাবে যেন কারো বাবা-মায়ের বুক খালি না হয়। আর কেউ যেন বিদেশ যেতে গিয়ে প্রতারিত না হন।
নিহত সোহেলের মা শোকে পাগল প্রায়। তিনি বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। আশপাশের লোকজন জানান, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারটি এখন দিশেহারা।বিএনপি নেতারা সোহেলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গেলে পরিবারের সদস্যরা রান্নার ভেঙে পড়েন।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, সম্ভবনাময় তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে বিদেশে পাড়ি জমায় সোহেলও তাই চেয়েছিল। সোহেলের অকাল মৃত্যুতে একটি পরিবারের স্বপ্ন অকালে ঝরে গেল। তার পিতার আহাজারিতে আজ বাকরূদ্ধ পুরো এলাকা। তিনি আরও বলেন, দেশের তরুণরা যেভাবে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ভূমিকা রাখছেন, সোহেলও মায়ের জমানো টাকা, গয়না বিক্রির টাকা বাবার জমি বিক্রির টাকা দিয়ে বিদেশে যেতে চেয়েছিল, বহু কষ্টের ছয় লাখ টাকা দিয়ে আজকে বিদেশে যাওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করে যখন এয়ারপোর্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো, পরিবারের এ যাতনা ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আজকে যে তার অকাল মৃত্যু হয়েছে, তার জন্য সরকারের সিন্ডিকেট দায়ী।