বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রেলসেতুতে স্কুলছাত্র হত্যা, গ্রেপ্তার চার বন্ধু
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আপন শেখ (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে চার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৯ জুন) নিহতের বাবা তুহিন শেখ কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলার দায়েরের পর ওই চার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপন কাশিয়ানী উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামের তুহিন শেখের ছেলে এবং কাশিয়ানী জি.সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কাশিয়ানী উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামের আব্দুর রহমান সিকদারের ছেলে খাইরুল সিকদার (১৯), একই গ্রামের ইমরান শেখের ছেলে স্বাধীন শেখ (১৮), কাওসার শেখের ছেলে সোহেল শেখ (২০) এবং ভাসান শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (১৮)।
আপনের চাচা শাহিন শেখ জানান, ঈদ উপলক্ষে আমার ছেলে সৌদি প্রবাসী ইমন তার চাচাতো ভাই আপন শেখের জন্য একটি মোবাইল ফোনসেট পাঠায়। মোবাইলফোনটি হাতে পাওয়ার পর সেটি নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন সময় কাটায়। কিন্তু মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে আপন শেখকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় একই গ্রামের খাইরুল সিকদারসহ চার বন্ধু। এরপর তারা গল্প করার কথা বলে বাঘঝাপা গ্রামের রেল ব্রিজে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুঠোফোনে খবর পাই আপন রেল ব্রিজের উপর থেকে পড়ে আহত হয়েছে। পরে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহিন শেখ অভিযোগ করে বলেন, আপনের মাথার তিনটি স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার ভাতিজা আপনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শাহিন শেখ আরও জানান, ৩-৪ দিন আগে আপনের সাথে বাঘঝাপা গ্রামের কয়েকজনের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরেও হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজিব সরকার জানান, আপনের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশের মাথায় বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পরদিন আপনের বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। এ দিনই মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।