তীব্র যানজটের কবলে রাজধানীবাসী
তীব্র যানজটের কবলে পড়েছে রাজধানীবাসী। রামপুরা-বাড্ডা হয়ে হাতির ঝিলের মধ্যেও সকালে ছিল যানের লম্বা সারি। আর সন্ধ্যা থেকে তিব্বতের একটি বিক্ষোভকে ঘিরে স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানীর যান চলাচল। এমন অবস্থায় থেমে আছে রোগী বহনকারী যানও, সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে আবার অফিস থেকে কাজ শেষে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় গুণছেন দীর্ঘ সময়।
নিউমার্কেট, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বসুন্ধরা, পান্থপথের দোকানপাট বন্ধ থাকে বলে রাস্তা প্রায় ফাঁকা থাকে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ছিল বিপরীত চিত্র।
অফিসের উদ্দেশে অন্যান্য দিনের মতো ঘড়ি দেখে বেরিয়ে বিপাকে পড়ে যান আব্দুল আলীম, দিদারুল ইসলাম। কারওয়ান বাজার এলাকায় তাদের অফিস। যানজটের অবস্থা দেখে হাঁটতে শুরু করেন তারা। এসব কথা জানানোর পাশাাপশি তারা বলেন, এমন যানজট মঙ্গলবার এই রাস্তায় থাকে না। আজ কেন তা বলতে পারছি না।
শান্তা ইসলাম যাবেন বসুন্ধরাতে। চিকিৎসক দেখাবেন মাকে। সড়কের যানজটের খবরে হতাশ তিনি। হাতে আছে মাত্র ঘণ্টাখানেক। তিনি বলেন, প্রত্যেক দিনের হিসাবে বাসা থেকে বেড়িয়ে এখন বিপাকে পড়তে হয়েছে। কী কারণে যে এমন হলো তাও জানতে পারছি না। গুগল ম্যাপ বলছে, পুরো রাস্তাজুড়েই প্রায় জ্যাম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোহাম্মদ তুমুল মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সড়কে। রামপুরা মহানগর প্রোজেক্ট থেকে রওনা দিয়ে এক ঘণ্টায় পৌঁছান হাতির ঝিলের এফডিসি মোড়ের কাছাকাছি। তারপর আর নড়তে চড়তে পারছেন না তিনি। বললেন, জরুরি কাজ আছে। আরও আধা ঘণ্টা আগে পৌঁছানোর কথা। অথচ, এখনও এখানেই অপেক্ষায় আছি, গাড়ি কখন স্টার্ট দিতে পারব।
ট্রাফিক তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কাকলী-বনানীর রাস্তা কাটাকাটি কারণে সকাল থেকে বানানী, মহাখালী, ফার্মগেটসহ আশপাশের এলাকায় বেশ যানজট ছিল। সন্ধ্যার যানজটের বিষয়ে তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক শ্রমিক নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর তিব্বতে বিক্ষোভ করে অন্তত ৫০০ জন মানুষ। ফলে, রাস্তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে অনেক সড়কে। আর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিক থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সাত রাস্তার চতুর্দিকের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এর রেশ কারওয়ান বাজার ও মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে অনেক যানজট তৈরি হয়েছে।