ভারত এদেশকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না : মাহিদুর রহমান
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহিদুর রহমান বলেছেন, ভারত কখনো এদেশকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে তাদের স্বার্থে, আমাদের স্বার্থে নয়। তারা চেয়েছিল অবিভক্ত পাকিস্তানকে দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারলেই তারা শান্তিতে থাকবে।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের হলরুমে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহিদুর রহমান একথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা (ভারত) কখনো পাকিস্তানকে সহ্য করতে পারেনি। এজন্য তারা এই ভূরাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিল। যার প্রতিফলন এখন ফুটে উঠছে। ভারতকে আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। উভয় দেশের জনগণও এটা চায়।
মাহিদুর রহমান বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী তাদের দোসররা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নানা প্রপাগান্ডায় এখন ওই টাকা ব্যয় করছে। তারা এখনো দেশের মধ্যে বীরদর্পে চলাফেরা করে। ওই কালো টাকা ব্যয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অশান্ত করতে চাইছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল উল্লেখ করে মাহিদুর রহমান বলেন, ভারত ও তাদের তাঁবেদার আওয়ামী লীগ মন্দির ও হিন্দু নির্যাতনসহ নানা অপপ্রচার করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইছে। ভারত আগ্রাসী মনোভাবে চোখ রাঙানি দিয়ে বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক দেখাচ্ছে। তা অবশ্যই নিন্দনীয়।
মাহিদুর রহমান আরও বলেন, মঈন উদ্দিন ও ফখর উদ্দিন ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতায় এসেছিল দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ধ্বংস করতে। এই ১৫-১৭ বছর মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার ছিল না। রাজনীতিবিদরা সাংবিধানিকভাবে রাজনীতির চর্চা করতে পারেননি। এটার পেছনে শক্তিশালী ভূমিকায় ছিল ভারত। তাই ৩৬ জুলাই এমনি এমনি হয়নি। এর পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীদেরও দীর্ঘ ত্যাগ ও অবদান রয়েছে।
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক বকশী ইকবাল আহমদের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। দেশের চলমান প্রেক্ষাপট ও মৌলভীবাজারের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, আজাদুর রহমান আজাদ, বকশী মিছবাহ উর রহমান, সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন, আহমদ ফারুক মিল্লাদ, মু ইমাদ উদ দীন, এম এ হামিদ, মো. শাহাজান মিয়া, মাহবুবুর রহমান রাহেল, সৈয়দ মমসাদ আহমদ, মোক্তাদির হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, আলী হোসেন রাজন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও চব্বিশের দ্বিতীয় স্বাধীনতায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।