আদালতে লিফটে না তোলায় কামরুলের ক্ষোভ
রাজধানীর লালবাগ থানার মো. আলী হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন। এদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে সকালে কারাগার থেকে হাজির করা হয় তাকে। এরপরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতের এজলাসে তোলেন পুলিশ।
আদালতে তোলার সময় লিফটে না উঠিয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কামরুল ইসলাম। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতরামির একটা সীমা আছে, ফাজলামো পেয়েছেন নাকি?’
কামরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? এতো উপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন? জানতে চেয়ে একপ্রকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এসময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আইনজীবীরা বলতে থাকেন, ‘আদালতে আপনারা লাগিয়েছেন তো নষ্ট লিফট।’ এরপর কামরুলকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন। এরপরে আদালতে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
কামরুল ইসলামকে আদালতের লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।’
পিপি ফারুকী আরও বলেন, ‘আর আদালতে এলেই তিনি পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করেন। কখনও আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া করেন। আবার কখনও উচ্চবাচ্যে বক্তব্য দেন। এটা উনার স্বভাবজাত অভ্যাস।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই লালবাগ থানার আজিমপুর কলোনি এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মোহাম্মদ আলী। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করা হয়।