‘কমপ্লিট শাটডাউন’ জবি, যা জানাল প্রশাসন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে এই কর্মসূচির আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিন। অনশনে এ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেননি তারা।
অনশনরতদের তিন দফায় আছে–দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা।
শিক্ষার্থীদের দাবি ও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় জবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিনের। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমলে নিয়ে আমরা কাজ করছি। যেহেতু আমরা এ কাজটা সরাসরি করি না, একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হয়, সেহেতু আমাদেরকে সেভাবেই এগোতে হবে। আমরা ইউজিসিকে জানিয়েছি। তারা মন্ত্রণালয়ে দেবে, মন্ত্রণালয় আর্মডফোর্সের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে ডাকবে। তখনই কেবল আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারব।’
শিক্ষার্থীদের এমন আশ্বাসের কথা জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে জবি কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘হ্যাঁ, জানানো হয়েছে।’ তাহলে আশ্বাস দেওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা কেন কমপ্লিট শাটডাউনের মতো আন্দোলন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা তারাই বলতে পারবে।’
শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না এবং দুর্নীতির অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্য কোষাধ্যক্ষর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. সাবিনা বলেন, আগের প্রশাসনের কোনো দুর্নীতি থাকলে তার দায়ভার তো আমরা নেব না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর যতটুকু পারব, ততটুকুই বলেছি। আর কোনো অসচ্ছতা রেখে কাজ করিনি। নতুন ক্যাম্পাসের বিষয়েও শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা তিন দাবিতে অনশন করছি। আজও অনশন চলবে, সঙ্গে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।