জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। দেশ চালায় জাতীয় সংসদ।’
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। গতকাল সোমবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনার বিষয়গুলো হলো—
১. সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
২. নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি মনে করে, এত বিলম্বের কারণ নেই। নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশও কাল আসবে, তাই বিলম্বের সুযোগ নেই। এ বছর জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। সেটির ব্যবস্থার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩. দ্রব্যমূল্য, ভ্যাট বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনের দুর্দশাসহ সমস্যা সমাধান নিয়ে নিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করা।
৪. সেনসিটিভ সময়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান। গণতান্ত্রিক পথ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখার আহ্বান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সব তৈরি, নির্বচন কমিশনও তৈরি। ক্রিটিকাল সময়ে জাতীয় নির্বচন পেছানোর চিন্তা বা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের চিন্তা আসে কী করে?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিচার রাজনৈতিক সরকার করে। যে ফ্যাসিস্ট অত্যাচার হয়েছে, সবচেয়ে বেশি হয়েছে বিএনপির ওপর। বিএনপির পর জামায়াত। ফ্যাসিস্টের বিচার অবশ্যই হবে, তবে বিচার নিয়ে তড়িঘড়িও করা যাবে না।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে৷
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক-মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেটার।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব চিন্তা আছে। জামায়াত নির্বাচন নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছে। বিএনপি ও সমমনারাও তাদের নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে মতপার্থক্যও দেখছে না বিএনপি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যে চুক্তিগুলো হয়েছে, তা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। নিজেদের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিই দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।