নির্বাচন নিয়ে ধানাই-পানাই শোনার জন্য আন্দোলন করিনি : মিন্টু
আমরা নির্বাচন নিয়ে ধানাই-পানাই শোনার জন্য আন্দোলন করিনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগীয় দলনেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) বরিশাল অশ্বিনী কুমার হলে দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু এ মন্তব্য করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একজন বলে বছরের শেষেই নির্বাচন, আরেকজন বলে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পেয়ে কথাবার্তার পরে তারিখ জানানো হবে। আমরা নির্বাচন নিয়ে ধানাই-পানাই শোনার জন্য আন্দোলন করিনি। স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
এ বিএনপিনেতা আরও বলেন, গত ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, এখনও করছি। এই আন্দোলন দেশের মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক, ভোটের অধিকার ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত চলবে। এসব অধিকার নিশ্চিতের প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচন। আমাদের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সংগ্রামের প্রাথমিক বিজয় পেয়েছি। মূল লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে কারও স্বীকৃতি দিতে হবে না। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ৬২ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা প্রহসনমূলক মামলা হয়েছে। মামলার সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এগুলো ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অতএব যদি কেউ মনে করে আমাদের ১৭ বছরের সংগ্রামের পরিবর্তে এক-দেড় মাসের আন্দোলনে একটা সরকারকে ফেলে দিয়েছি, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমাদের স্বীকৃতি ভোটের মাধ্যমে দেবে জনগণ।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
সভা শেষে নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।