ই-কমার্স খাতে সুখবর
জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, “আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এবং ই-কমার্স খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ই-বাণিজ্য করব, নিজের ব্যবসা গড়ব’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’—শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এবং ই-কমার্স খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ই-বাণিজ্য করব, নিজের ব্যবসা গড়ব’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ই-কর্মাস বিষয়ে নতুন উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে ই-কমার্স বিষয়ক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে সিডিবিসি চালু করার লক্ষ্যে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হবে। এতে ভার্চুয়াল লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান-প্রদান সহজ হওয়ার পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসাকে উৎসাহ দেওয়া করা হবে। আমাদের সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের প্রসার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে সিডিবিসি চালু করার লক্ষ্যে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হবে।’
এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার ২০১৮ সালে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন করে। তবে, করোনাকালে বাংলাদেশে ই-কমার্সভিত্তিক ব্যবসা ব্যাপক বিস্তার লাভ করলেও কতিপয় প্ল্যাটফর্মে গ্রাহক প্রতারণার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ডিজিটাল কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমানে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ডিজিটাল কমার্স বিজনেস আইডি (ডিবিআইডি) দেওয়া হচ্ছে।