বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষাসহ ১১ খাতে অগ্রাধিকার
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বহুমুখীকরণ, কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় ‘কোভিড অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০২০ সালের শুরু হতে চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির বিরূপ প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটজনিত কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করার ওপর সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত। বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষিখাতের যে অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে তা আরও বেগবান করে অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণা ও সম্প্রসারণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন এবং সারে ভর্তুকি প্রদান চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তৃতীয় অগ্রাধিকার খাত হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা বরাদ্দ অব্যাহত রাখবো।
অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বহুমুখীকরণকে আমরা চতুর্থ অগ্রাধিকার দিয়েছি। বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। আমাদের পঞ্চম অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা আমাদের অগ্রাধিকারের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব সময় নিম্ন-আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারবদ্ধ এ সরকার আগামীতেও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করবে।’
সে ধারাবাহিকতায় নিম্ন-আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে এমনকি বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আগামী বাজেটে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সফল বাস্তবায়ন আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।