সুকুক বন্ড বেচাকেনা সেকেন্ডারি মার্কেটেও
শরিয়াহভিত্তিক সুকুক (ইজারা সুকুক) এতদিন কেবলমাত্র অভিহিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—এই সুকুকটি সম্মত মূল্যে সেকেন্ডারি মার্কেটেও কেনাবেচা করা যাবে। আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে শরিয়াহভিত্তিক সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ে সরকার। বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই দফায় আট হাজার কোটি টাকার সুকুকের সার্টিফিকেট বিক্রি করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা মুনাফাও পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইসলামি এই বন্ডের (সুকুক) টাকা ‘সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে অর্থায়ন করা হবে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডে বিনিয়োগ থেকে বছরে আসবে চার দশমিক ৬৯ শতাংশ মুনাফা।
শরিয়াহভিত্তিক আট হাজার কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি যে সুকুক (ইজারা সুকুক) ইস্যু করা হয়, তা কেবলমাত্র অভিহিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য ছিল। বর্তমানে প্রসপেক্টাসে বর্ণিত শর্তানুসারে প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ বাস্তবায়ন হওয়ায় সুকুকটি সম্মত মূল্যে সেকেন্ডারি মার্কেটে কেনাবেচা করা যাবে।
জানা গেছে, দেশে শরিয়াহভিত্তিক আট হাজার কোটি টাকার প্রথম ইসলামি বন্ডের নিলামে প্রস্তাব দাখিলে আগ্রহীরা ১০ হাজার টাকা ও এর গুণিতক যেকোনো অঙ্কের বন্ড কিনতে পারেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সারা দেশে পানি সরবরাহ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয় আট হাজার ৮৫১ কোটি টাকা।
এ প্রকল্প থেকে পানি কিনবে সরকার। এখান থেকে নির্ধারিত হারে মুনাফা পেয়ে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। প্রকল্প শেষ হলে বিনিয়োগকারীরা মূল টাকা ফেরত পাবেন। অন্য সব সরকারি বন্ডের মতো সুকুক বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএলআর সংরক্ষণ করা যায়।