বাজেট
স্বাস্থ্য খাতে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। এ বছর এ খাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। গত বছর যা ছিল ১১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে এ বছর এক হাজার ৫৮০ কোটি বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হওয়া দেশের ৪৪তম বাজেট অধিবেশনে স্বাস্থ্য খাতে এ বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
কমিউনিটি ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবার সম্প্রসারণ, মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার কর্মসূচি, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কাজে বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিক খাতে বরাদ্দ বিষয়ে বলেন, ‘‘মিনি ল্যাপটপ হবে ডিজিটাল ডাক্তার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মোট ১৩ হাজার ৮৬১টি মিনি ল্যাপটপ প্রদানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ টেলিমেডিসিন সেবা, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য ও স্বাস্থ্য শিক্ষার সুযোগ পাবেন।’
টেলিমেডিসিন সেবার সম্প্রসারণ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘৬৪টি হাসপাতাল এবং ৪১৮টি উপজেলা হাসপাতালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য অফিসগুলোতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গরিব, দুস্থ ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ৫৩টি উপজেলায় চালানো হচ্ছে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার কর্মসূচি। আরো ২০টি উপজেলায় এ কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৩২টি উপজেলায় জরুরি প্রসূতিসেবা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’
জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ‘জাতীয় ঔষধ নীতি ২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একই সাথে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২, ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০, ড্রাগ রুলস ১৯৪৫ ও ১৯৪৬-সহ বিভিন্ন সংশোধনী একত্রিত ও যুগোপযোগী করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’