কমারটা কমেনি, বাড়ানোতে ছাড় নেই
বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র একদিন আগে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এ বাজেটে যেসব পণ্যের ওপর শুল্কহার বাড়া-কমার প্রস্তাব করা হয়েছে, এরই মধ্যে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। তবে যেসব পণ্যের দাম কমার কথা, সেসব পণ্যের দাম কমেনি। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলোতে দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।
বাজেটে পেঁয়াজ আমদানির ওপর কাস্টম শুল্ক শূন্য করার প্রস্তাব করা হলেও বাজারে এর প্রভাব নেই। কিন্তু চিনির শুল্ক প্রকারভেদে টনপ্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করার পরদিন শুক্রবার থেকেই বাজারে এর দাম বেড়েছে। আরো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে একই চিত্র দেখা গেছে।
এ ছাড়া বাজেটে মানভেদে সিগারেটের ওপর দুই থেকে পাঁচ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু বাজেটে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে ধারণা থেকেই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এই পণ্যটির দাম ঘোষণার আগেই বেড়ে যায়। বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে সেই বাড়তি দামেই ক্রেতাদের বিড়ি-সিগারেট কিনতে হচ্ছে।
সিগারেটের ক্রেতা মনির আহমেদ বলেন, বাজেট পেশের আগেই ১০ টাকার সিগারেট ১১ টাকা নিত। বাজেট পেশের পর তা ১২ টাকা নিচ্ছে। বিক্রেতা বলছে, কার্টনপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা।
তবে আমদানীকৃত বিদেশি মোটরসাইকেলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলেও এখনই বাজার ঘুরে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে আমদানীকৃত মোটরসাইকেলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। তাছাড়া আমদানীকৃত মোটরগাড়ির টায়ারের ওপর নতুন করে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ইমপোর্ট করা টায়ারের দাম এখনো বাড়েনি বলে জানা যায়। তবে বেশি দামে টায়ার ইমপোর্ট করা হলে সে ক্ষেত্রে দেশি বাজারে টায়ারের দাম বাড়বে বলে জানান বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজেট প্রস্তাবে আসা নতুন শুল্কহার আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার পরই এর প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করবে। সে হিসেবে আরো ১০-১৫ দিন পর বাজেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়া-কমার প্রভাব দেখা যাবে বাজারে।