মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেট বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যাঁতাকলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পিষ্ট। নিত্যপ্রয়োনীয় জিনিসপত্রের দামের চাপে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশে উঠেছে। যা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আসছে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে সাড়ে ৬ শতাংশ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’- এ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার দেশের ৫২তম বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম বাজেট।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সে হিসেবে বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটে সংশোধিত জিডিপির চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির আকার ৪৪ লাখ ৩৯ কোটি ২৭৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ রাখা পাশাপাশি ভোক্তা মূল্যসূচক বা মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।