অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি সামাজিক খাতেও অগ্রগতি
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ শুরু হয়েছে। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ শুরু করেন। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট পেশের সময় সামাজিক খাতের অগ্রগতির বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বলা হয়, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সামাজিক চলকসমূহে পার্শ্ববর্তী ও সমজাতীয় দেশসমূহের তুলনায় বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নের সাফল্য স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
আরও বলা হয়, সফলভাবে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও কর্মকৌশলকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের সাথে সামঞ্জসূপূর্ণ করা হয়েছে। আরও বলা হয়, ২০০৮ সালে ১ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার ছিল প্রতি হাজারে ৪১ জন। এ হার অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে ২০২১ সালে প্রতি হাজারে ২২ জনে নেমে এসেছে।
মাতৃমৃত্যুর হার ২০০৫ সালের ৩৪৮ জন (প্রতি লক্ষ জীবিত জনে) হতে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ১৬৮ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার ২০০৫ সালের প্রতি হাজারে ৬৮ জন থেকে কমে ২০২১ সালে প্রতি হাজারে ২৮ জন হয়েছে; প্রসবকালীন দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি ২০০৪ সালের ১৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৫৭.৯ শতাংশ হয়েছে।
সুপেয় পানির কভারেজ বর্তমানে প্রায় ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে; স্যানিটেশনের কাভারেজ বর্তমানে প্রায় ৮৫.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল ২০০৮ সালের ৬৬.৮ বছর হতে ২০২১ সালে ৭২.৩ বছর হয়েছে।