‘উন্নত বিশ্বের পর্যায়ভুক্ত হতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে ঢাবি’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘উন্নত বিশ্বের পর্যায়ভুক্ত হতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অপরচুনিটি ব্যবহার করে এই জাতিকে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন ‘পার্সপেক্টিভ ভিশন-২০৪১’ অর্জনে নেতৃত্ব দেবে ঢাবি।’
আজ রোববার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বিজয় শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজয় শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রাটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে এক সমাবেশে অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্ছাস এবং মানবতার বিকাশে অসাধারণ উপজীব্য শক্তি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে কাজ করবে। যাতে আমরা এই জাতির জন্য কাজ করতে পারি। এখানে মানবতার জয়গান প্রস্ফুটিত হবে এবং সেইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত হবে।’
ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যে সুবিধাসমূহ সেগুলোকে পুরো মাত্রায় গ্রহণ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের পর্যায়ে উপনীত হওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন প্রস্তুত হবে এবং এই গুরুদায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকরা তারাই বহন করবেন। সেটিই হবে আমাদের আজকের এই দিনের সুন্দরতম প্রত্যাশা।’
উপাচার্য বলেন, ‘আজকের বিকেলে আমাদের যে আলোচনা সভা আছে এবং একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে সেই কনসার্টের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা যে শতবর্ষ উদযাপন করছি সেগুলোর আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু উচ্ছাস, উদ্দীপনা ও মানবতার বিকাশ সেটি ঘটতে থাকবে। উদ্ভাবন এবং গবেষণার ক্ষেত্র সেটি সম্প্রসারিত হতে থাকবে। সেগুলো থাকবে চলমান।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার, ট্রেজারার মমতাজ উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।