খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি ঢাবি সাদা দলের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতির দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান সাদা দলের শিক্ষকেরা।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, সাদা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এজন্য সরকার ভয় পাচ্ছে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে। বিদেশে গিয়ে যদি এটি উদঘাটিত হয়ে যায়। এই সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য ডা. মুরাদ হাসানের ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে। মানুষ এত বোকা নয়।’
ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পতনের লক্ষণ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাতজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সাবেক সেনাপ্রধানের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। জুলুম করে রেহাই পাওয়া যাবে না। সেই জুলুম আবার নিজের ওপর এসে পড়বে।’
অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান বলেন, ‘তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সারা পৃথিবী থেকে তাঁর সুচিকিৎসার দাবি উঠেছে। কিন্তু, এই সরকার তাঁকে সেটা থেকে বঞ্চিত রাখছে। এত ভয় পাচ্ছেন কেন, কী এমন লুকায়িত রয়েছে যে, তিনি বিদেশে গেলে সেগুলো ফাঁস হয়ে যাবে? যদি ভয় না থাকে অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’
‘ক্ষমতাসীনরা সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যান’ উল্লেখ করে ড. আখতার হোসেন খান বলেন, ‘যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন এবং সুস্থ হয়েও ফিরছেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বারবার বলার পরও খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ইতিহাস বলে প্রতিহিংসা কোনো সমাধান নয়, প্রতিহিংসা আবারও প্রতিহিংসা ডেকে আনে। এই শুভবুদ্ধি আপনাদের উদয় হোক, এ কামনা করছি।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া এ দেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার ও বীরপ্রতীক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী, এ দেশের একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। সরকারের সঙ্গে জড়িত সামান্য ব্যক্তিকেও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়, অথচ খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে নানান অজুহাত দেখানো হচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কটূক্তিমূলক কথা হচ্ছে। এসব কাম্য নয়। আমরা দ্রুত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির দাবি জানাচ্ছি।’