গুচ্ছ পদ্ধতির আবেদন ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবেদন ফি বাতিল এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ছাত্র অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য জহির ফয়সালের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবার ফি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা করে ফি নিয়েছিল। এটা স্পষ্টই মেধাবী নিম্নবিত্তদের গলাকাটা। অবিলম্বে গুচ্ছ পদ্ধতির বাড়তি ভর্তি ফি বাতিল করতে হবে। মেধাক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।’
নাজিউল আলম নামের এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তিতে আমাদের কোনো মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আমরা কীভাবে বুঝব কোথায় আবেদন করতে হবে? আমরা কোথায় যাব? প্রথমে এক হাজার ২০০ টাকা করে খরচ করে আবেদন করেছি। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ৬০০ টাকা করে লাগবে। আমাদের ভোগান্তির শেষ কোথায়?’
ঢাকা জেলা উত্তরের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জুবায়ের হোসেন জুম্মান বলেন, ‘উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষক তৈরির জন্য কাজ করেছে। আর আমাদের দেশে সব বাণিজ্যিক শিক্ষক পেয়েছি। এরা শিক্ষা ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জাতিকে কলঙ্কিত করছেন। তাদের এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ মাঠে নামবে।’
জাবি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির নামে শিক্ষার্থীদের গলায় ছুরি চালিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এখন আবার দ্বিতীয়বার আবেদন করে পুনর্মূল্যায়নের নামে ভর্তি কমিটি টাকা চাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ ধোঁয়াশা কাটাতে হবে। ভর্তির পদ্ধতি স্পষ্ট করতে হবে। নইলে ছাত্রদের অসন্তোষ দাবানলের মতো ছড়িয়ে যাবে। মানববন্ধন থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। গত ২০ অক্টোবর, ২৬ অক্টোবর ও ৩ নভেম্বর যথাক্রমে এ, বি ও সি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ৭ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর সময় বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুনঃনিরীক্ষণের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দুই হাজার টাকা খরচ করতে হবে।