গুম ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'গুম ও সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারকৃতদের স্মৃতিচারণ ও ছাত্র-জনতার সমাবেশ' করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখা। সমাবেশ থেকে সকল ‘রাজবন্দি’দের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আখতার হোসেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমেরিকা যেমন গুয়ানতানামো বে তৈরি করেছে, আওয়ামী সরকার তৈরি করেছে আয়নাঘর। কিন্তু, গুয়ানতানামো বে'তে যাদেরকে নেওয়া হয়, তাদের তথ্যও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, আয়নাঘরের বন্দিদের কোনো হদিস মেলে না। অতিশীঘ্রই গুমকৃত ব্যক্তিদের ফেরত দিতে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আখতার হোসাইন বলেন, ‘প্রোগ্রাম ঘোষণার পরই গতকাল আমার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হয়রানি করেছে। কিন্তু, আমরা দমে যাইনি। আমরা আজ রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি সেই সকল মানুষদের কথা বলার জন্য, যারা গুমের শিকার হয়ে ভয়ের কারণে জনপরিসর থেকে হারিয়ে যান। আমরাও যদি কোনোদিন গুম হয়ে যাই, আপনারাই কথা বলবেন, ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইন প্রমুখ।
সমাবেশে দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক দিদারুল আলম ভূঁইয়া ও ছাত্র ফেডারেশন নেতা আরমানুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফা, ড. তানজিম উদ্দিন খান, ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আনু মুহাম্মদ, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিচালক এএসএম নাসিরুদ্দিন এলান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী কাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সারা হোসেন প্রমুখ।