ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভারত, ইরান, তুরস্কসহ সাতটি দেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়োজন করা হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলন’। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী অডিটোরিয়ামে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

সম্মেলনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।

বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হকের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ শতবর্ষপূর্তি উপজীব্য করে আল্লামা রুমি সোসাইটির সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করছে বিভাগটি।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন জানান, তিন দিনের এই সম্মেলেনে সাতটি দেশের ২৪ জন গবেষক ৮টি একাডেমিক সেশনে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

এ ছাড়া, ৪ সেপ্টেম্বর  বিকেলে টিএসসিতে ঢাকার সমাপনী পর্ব শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাওয়ালী ও সুফি নৃত্য পরিবেশন হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর সৈয়দ আহমদুল হকের প্রয়ানভূমি চট্টগ্রামের ইন্ডিপেন্ডেন্স ইউনিভার্সিটিতে এ সম্মেলন শেষ হবে।

ফারসি ভাষার জগৎবিখ্যাত কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি প্রেম ও  মানবতাবাদী দর্শন প্রচার করে শান্তির বার্তা দেওয়াই সম্মেলনের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রুমি বিশ্বের সম্পদ। অশান্ত ও বিশৃঙ্খল মানবাত্মার জন্য প্রশান্ত হৃদয় হিসেবে রুমিকে মূল্যায়ন করা যায়। গোটা পৃথিবীতেই রুমির গ্রহণযোগ্যতা ও স্বীকৃতি রয়েছে। রুমির সেই মানবতাবাদী দর্শন ও আদর্শকে বাঙালি সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করেছেন বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হক।’

অধ্যাপক বাহাউদ্দিন আরও বলেন, ‘একাডেমিক গবেষণা, প্রন্থ রচনা, বক্তৃতা-বিবৃতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তিনি আধুনিক বাংলাদেশে রুমিকে উপস্থাপন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে প্রেম ও প্রজ্ঞার বাহক সেই রুমি আমাদের আজকের সমাজে বড়ই প্রয়োজন। দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের অভিজ্ঞতালব্ধ রুমিবিষয়ক কর্ম ও গবেষণার আলোকে সমাজে শাশ্বত শান্তির বার্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা রুমি সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহসীন উদ্দিন মিয়া ও অধ্যাপক তারিক জিয়াউর রহমান সিরাজী উপস্থিত ছিলেন।