ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক অনুষদভুক্ত শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ প্রথমবার আয়োজন করেছে আন্তঃবিভাগ খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যসূচি বহির্ভুত সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয় বলে জানান বিভাগটির চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী।
গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলে এই প্রতিযোগিতা। এতে বিভাগের শিক্ষক ড. মো. রফিকুল ইসলাম (রফিক শাহরিয়ার), ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন আহমেদ, ড. সাজ্জাদ হোসাইন সিদ্দিকী, ফাহিমা দুররাত, মারিয়া হোসাইন, এফ এম তানভীর শাহরিয়ার ও তনিমা মেঘডালিনা কোর্যাইয়াসহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য, উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, দাবা ও টেবিল টেনিস ইত্যাদি ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর সব ইভেন্টেই বিভাগের ১৭তম ব্যাচ থেকে ২২তম ব্যাচ পর্যন্ত বহু শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।
আয়োজন প্রসঙ্গে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনায় অনুষদের সকল বিভাগেই সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগও প্রথমবারের মতো এ ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং আন্তঃবিভাগ খেলাধুলার আয়োজন করেছে। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ কাজ করছে। বিভাগে যেন নতুন প্রাণসঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের বিভাগে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে, যাতে করে শিক্ষার্থীদের মনন ও মেধা বিকাশে অনেক সহায়ক হয়। মানসিক বিকাশ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এ বিষয়গুলো বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে বলে আমি মনে করি।’
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ৮ জুন ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিভাগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শান্তি, সংঘর্ষ, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার বিষয়াদি সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। এ বিভাগ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি এম.ফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রিও প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বিভাগটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থাসমূহের সাথে যৌথভাবে গবেষণার কাজ করে থাকে।