নির্ধারিত সময় অনুসারে আগামী ৫ অক্টোবরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। এদিন সকাল থেকেই উপযুক্ত কাগজ-পত্র দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।

তবে, এরই মধ্যে যারা নিয়ম ভেঙে হলে প্রবেশ করেছে তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়ম ভঙ্গকারীদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক ভার্চুয়াল জরুরি সভায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত যারা আবাসিক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ, বিদ্যুতিক লাইন ও পানির সংযোগ চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন হোস্টেলের ওয়ার্ডেন ও প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত যারা হলে প্রবেশ এবং অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের যে সব আবাসিক শিক্ষার্থী অন্তত প্রথম ডোজ করোনার টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি ও এসওপি অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে।

এ ছাড়া সভায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে একই শর্তে যত দ্রুত সম্ভব অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।