বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার তথ্য নিচ্ছে জবি প্রশাসন
দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়ার তথ্য নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শুক্রবার এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য।
অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার আচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘স্টুডেন্ট লগইন’-এ করোনা টিকা দেওয়ার তথ্য প্রদান করতে পারবে। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এলো তা জানার জন্য আইটি দপ্তর থেকে এই জরিপ চালানো হচ্ছে।
সব শিক্ষার্থীকে জরিপে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন জবির আইটি দপ্তরের পরিচালক।
এদিকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পর আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। তাদের মতামত পেলে স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা গতকালই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সকল বিশেষজ্ঞ, আমাদের যে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি রয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত এবং আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সবার সঙ্গে এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অ্যাসোসিয়েশন আছে তাদের সঙ্গে, সবাইকে নিয়ে এবং শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনকে নিয়ে গতকাল একটি যৌথ সভা হয়েছে। এবং আমরা সেখানে কী করে আগামী এক মাসের মধ্যে, আমরা যত দ্রুত সম্ভব, আমরা চেষ্টা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যারা ১৮ বছরের বেশি, যাদের টিকা দেওয়া যাবে তাদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা এবং তারপরে যেহেতু টিকা দেওয়ার পরে আরও সপ্তাহ দুয়েক লাগে, আপনারা জানেন ইমিউনিটি পেতে, অর্থাৎ অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যায়ে আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারব।’
স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে দীপু মনি বলেন, ‘স্কুলগুলো খোলার জন্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলা হয়, শতকরা পাঁচ ভাগ বা তার নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। কিন্তু আমাদের এখানে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই, তাদের বাড়িতেও অনেক বেশি স্বল্প পরিসরে অনেকের সঙ্গে বসবাস করছে। তারপরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে, তাদের শারীরিকের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আছে।’