হলের সমস্যা দূরীকরণে রাবিতে একের পর এক আন্দোলন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, সান্ধ্য আইন পরিবর্তন ও ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোসহ ১০ দফা দাবিতে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা৷
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ওই হলের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর একই দাবিতে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো সান্ধ্য আইন পরিবর্তন, ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ওয়াইফাইয়ের সমস্যা দূর করা, ডাইনিংয়ে খাবারের মান বৃদ্ধি, অতিথিদের হলে প্রবেশের অনুমতি, অন্য হলের ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অনুমতি, হলের খালা ও স্টাফদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে অবস্থানের অনুমতি, পর্যাপ্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, হলের চারপাশ ও ওয়াশরুম পরিষ্কার করা এবং হলের মশা, মাছি নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷
শিক্ষার্থীদের বলছে, প্রতিদিন আলু আর পেঁপে খেতে খেতে অতিষ্ট। ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ অথচ খাবারের মান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে৷ হল প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না৷ এছাড়া হলে আসার পর থেকে ইন্টারনেটের খুবই বাজে অবস্থা। প্রতি মাসে আমরা ইন্টারনেটের বিল দিয়েও সঠিক সেবা পাচ্ছি না৷
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, হলে অতিথি আসলে তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। সন্ধ্যা ৭টার পরে হলে ঢুকতে গেলে হলের স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করে। হলের ওয়াশরুম ও চারপাশ অপরিষ্কার থাকায় মশা, মাছি বেড়েই চলেছে। অনতিবিলম্বে আমাদের এসব দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব৷
এ সময় ‘ইন্টারনেট বিল দেই সেবা কই’, ‘সান্ধ্যা আইন মানি না’, ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন?’, ‘মা বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা৷
আন্দোলনের এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের জন্য দুই-তিন দিন সময় চেয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে বলে, ‘আজকের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।’
পরে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা।