ইবির শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে ফটক বন্ধ বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র্যাগিংয়ের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশ একপেশে দাবি করে আন্দোলনে নেমেছে সহপাঠীরা। আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ইবির ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করে তারা।
সহপাঠীদের এ আন্দোলনের ফলে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো আটকা পড়ে। পরে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা।
এর আগে আজ ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী এবং শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার একপক্ষের কথা শুনে আমাদের সহপাঠীদের বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই বহিষ্কারাদেশ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এখানে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি এই মর্মে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর দিয়েছে, সেটা তদন্ত কমিটি আমলে নেয়নি। প্রহসনের বিচার মানি না আমরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো বিষয়ে স্থায়ী বহিষ্কারের মতো একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছোটখাটো বিষয়ে স্থায়ী বহিষ্কার মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
এ বিষয়ে ছাত্রশৃঙ্খলার সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটি র্যাগিংয়ের সত্যতা পাওয়ার পর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনায় বসে। পরে ওদের কেন বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেবে। তারপর আবার ছাত্রশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।
এ ছাড়া ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় ইবির মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিকী কাব্যকেও স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উগত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর দফায় দফায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ওই নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, হিশাম নাজির শুভ, সাদমান সাকিব আকিব ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিবের বিরুদ্ধে।