আজ প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণায় মাতবেন প্রার্থীরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোননয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হয়েছে। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটকে আসন ছাড় দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ৩২ আসন থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ, আজ থেকেই প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা।
এর আগে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও আপিলে মোট এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী বৈধতা পেয়েছে বলে জানিয়ে ইসি। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩০ জন। বিকেলে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে জোটভুক্তদেরসহ নিজেদের আসন নিশ্চিত করেছে তারা।
প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) আফজাল হোসেন, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দলটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মো. ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ আসনে গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ আসনে জাকির হোসেন বাবুল, রংপুর-১ আসনে রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ আসনে তুষার কান্তি মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-১ আসনে আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আসনে আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মাহবুব আরা বেগম গিনি, বগুড়া-২ আসনে তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ আসনে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, সাতক্ষীরা-২ আসনে আসাদুজ্জামান বাবু, পিরোজপুর-৩ আসনে আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ আসনে আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে আব্দুছ ছাত্তার, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নাসিরুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-১ আসনে আব্দুস সালাম, ঢাকা-১৮ আসনের হাবিব হাসান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি শাহজাহান আলম সাজু, ফেনী-৩ আসনে আবুল বাশার, চট্টগ্রাম-৫ আসনে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম-৮ আসনে নোমান আল মাহমুদ, বগুড়া-৪ আসনে হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, রাজশাহী-২ আসনে মোহাম্মদ আলী ও বরিশাল-২ আসনের প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুস। এর মধ্যে পটুয়াখালীর আফজাল হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার শাজাহান আলম সাজু একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি।
এ ছাড়া সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম। এর মধ্যে জি এম কাদের অবশ্য রংপুর-৩ এবং সালমা ইসলাম ঢাকা-১ আসনে দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরিশাল-৩ আসনে থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বরিশাল-২ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করাদের মধ্যে আরও রয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ঢাকা-৫ আসনের মীর আব্দুর সবুর আসুদ, ঢাকা-১৪ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপি (মন্জু) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সিলেট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মেসবাহ উদ্দিীন সিরাজ, ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জাপার প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব ছালাউদ্দিন খোকা।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী। বাছাইয়ে বাতিল হয়েছিল ৭৩১ জনের। আপিল হয়েছিল ৫৬০টি। আপিল শুনানি শেষে ২৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। আপিল নামঞ্জুর হয় ২৭৪টি। আজকে সারা দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি ও স্থগিত আছে পাঁচটি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জনে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ (নৌকা) ২৯৮টি আসনে মোট ৩০৩টি, বিরোধীদল জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি, জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি (আম) ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা) ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি (নোঙর), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) ৪৫টি, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
এছাড়া গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বিকল্পধারা ১৪টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৪টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (কুঁড়েঘর) ৬টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত পাঞ্জা) পাঁচটি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। আর দলীয় মতবিরোধের কারণে গণতন্ত্রী পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে ইসি। এছাড়া জাকের পার্টি নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এদিকে, বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (ছাতা), ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (কাস্তে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি (তারা), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মই), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুরগাছ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী), বাংলদেশ খেলাফত মজলিস (রিক্সা), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেওয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম (সিংহ), ইনসানীয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল) ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনি কার্যক্রম থেকে দূরে রয়েছে।
খুলনা বিভাগ : এ বিভাগের ৩৬টি আসনে ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের মাঠে রয়েছেন বাকী ২২৬ জন প্রার্থী। উল্লেখযোগ্য যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদা খানম মেধা, যশোর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন লাভলু ও হুমায়ুন সুলতান, ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ঝিনাইদহ-৩ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবষণা সম্পাদক আনিছুর রহমান, মেহেরপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, ও মোখলেছুর রহমান মুকুল।
রংপুর বিভাগ : এ বিভাগে ৩৩টি আসনে ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৮৪ জন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৫০জন। পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমদাদলু হক। নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এবং নীলফামারী-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ আসনে তুষার কান্তি মণ্ডল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। কুড়িগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক এমপি আসলাম হোসেন সওদাগর এবং কুড়িগ্রাম-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী প্রত্যাহার করেছেন। গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মাহাবুব আরা বেগম গিনি প্রত্যাহার করেছেন।
রাজশাহী বিভাগ: এ বিভাগের ২৯ টি আসনে মোট ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর ভোটের মাঠে লড়ছেন ২৩৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন ও রাজশাহী-৫ আসেনের বর্তমান এমপি ডা. মনসুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। নাটোরে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমান ও লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর। বগুড়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক ও বগুড়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান রাজু সরে দাঁড়িয়েছেন। নওগাঁ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক।
সিলেট বিভাগ : এ বিভাগের ১৯টি আসনে ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের মাঠে রয়েছেন ১১৪ জন প্রার্থী। উল্লেখযোগ্য যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন-হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সিলেট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সোহেল, সিলেট-৫ আসনে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী কয়সর আহমদ কাওছার ও হবিগঞ্জ-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ছাদিকুর মিয়া তালুকদার।
বরিশাল বিভাগ : এ বিভাগের ২১টি আসনে ২৫ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ভোটের মাঠে লড়বেন ১১৯ জন। এর মধ্যে বরিশাল-২ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুসসহ তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। বরিশাল-৩ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী সর্দার খালিদ হোসেন স্বপন, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননসহ চার প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভোলা-৩ আসনে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী ফারজানা আক্তার চৌধূরী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মো. আশরাফুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনও রয়েছেন।