এবার শাহরুখের ম্যানেজার পূজাকে ডেকেছে পুলিশ
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানিকে ডেকেছে মুম্বাই পুলিশ। আরিয়ান খানের মাদক মামলায় ঘুষ লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানতেই তাঁকে ডাকা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের।
সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত শনিবার পূজা দাদলানিকে তলব করে মুম্বাই পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পুলিশের কাছে সময় চেয়েছেন শাহরুখ খানের ম্যানেজার।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, এর আগে মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল দাবি করেন, শাহরুখ খানকে ব্ল্যাকমেইল করে ছেলেকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কে পি গোসাভি (এনসিবির মুম্বাই প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের ঘনিষ্ঠজন ও হেফাজতে থাকা অবস্থায় আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তোলা ব্যক্তি) ২৫ কোটি রুপি দাবি করেছিলেন। তা থেকে ৮ কোটি রুপি পাওয়ার কথা ছিল এনসিবির মুম্বাই প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের।
লিখিত অভিযোগে প্রভাকর সেইল আরও দাবি করেন, ৩ অক্টোবর আরিয়ান খানের গ্রেপ্তার এড়াতে কে পি গোসাভি ও স্যাম ডি সুজাকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে সাক্ষাৎ করেন শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে না পারায় পরে ৩৮ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয় পূজাকে।
যা হোক, স্যাম ডি সুজা গত বুধবার বোম্বে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। জামিন আবেদনে তিনি দাবি করেছেন, আরিয়ানের গ্রেপ্তার এড়াতে শাহরুখের ম্যানেজারের কাছ থেকে ৫০ লাখ রুপি নিয়েছেন কে পি গোসাভি। তবে এনসিবি ২৩ বছর বয়সী আরিয়ানকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর সে অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী দল ওই এলাকার ১০-১৫ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ৩ অক্টোবর অভিযুক্ত এলাকায় নীলরঙা একটি মার্সিডিজ ও দুটি ইনোভাস গাড়ি ছিল।
অন্যদিকে, আরিয়ান খানকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন এনসিবির মুম্বাই প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে—এমন দাবি করেছেন খোদ মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী নবাব মালিক।
মন্ত্রী নবাব মালিকের দাবি, ওই ক্রুজ পার্টিতে যাওয়ার জন্য আরিয়ান টিকেট কেনেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। এটা ছিল অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয়। মুক্তিপণ দাবির মূল হোতা মোহিত কম্বোজ এবং সমীর ওয়াংখেড়ে তাঁর সহযোগী।
মন্ত্রী নবাব মালিক আরও বলেছেন, ৭ অক্টোবর মোহিত কম্বোজ ও সমীর ওয়াংখেড়ে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা কবরস্থানে দেখা করেছিলেন। এর পর ওয়াংখেড়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর ওপর নজরদারি চলছে।
মাদক মামলার নতুন তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া এনসিবির দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল আরিয়ান খানকে। কিন্তু জ্বর অনুভব করায় এনসিবি অফিসে যাননি শাহরুখপুত্র।
২ অক্টোবর রাতে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় আরিয়ান খানকে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। ২৮ দিন কারাভোগের পর ৩০ অক্টোবর ঘরে ফেরেন এ স্টার কিড।