কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পরীর
ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলার পর দ্রুতই প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণি। আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বনানী বাসভবনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন পরী মণি।
পরী বলেন, ‘আজকে আমি অনেক খুশি। আজকে অনেক শান্তি লাগতেছে। এত তাড়াতাড়ি জিনিসগুলো হয়েছে, এতটা আশাও করেছিলাম না। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমার পাশে ছিলেন, আমাকে সাপোর্ট করেছেন। এই লড়াইটা কতটা কঠিন, সেটা গত চার দিনে আমি বুঝে গেছি। আমি যতক্ষণ না সুবিচার পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমি অনেক ভরসা পাচ্ছি। আমি উঠে দাঁড়ানোর মতো ভরসা পাচ্ছি। এখন পুরোটা লড়তে চাই।’
তদন্ত নিয়ে কোন শঙ্কা আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘যারা দায়িত্ব নিয়েছেন। সত্যিই সাহস পাচ্ছি এবার। আমার আইনের উপর আস্থা আছে। আমার তো মামলাই নেওয়া হচ্ছিল না। সবাই এখন আমার পাশে আছে। আমার এখন ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেছিলেন পরী মণি। ঘটনার বিস্তারিত জানাতে রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর বনানীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এই অভিনেত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পরী মণি অভিযোগ করেন, চার দিন আগে আশুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ অশোভন আচরণ করেছেন এবং শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এ ঘটনায় তিনি বনানী থানায় মামলা করতে গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি। সোমবার সকালে চিত্রনায়িকা পরী মণি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ছয় জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরী মণির। ঢালিউডে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। গেল বছরের ডিসেম্বরে পরী মণি বাংলাদেশের একমাত্র তারকা হিসেবে জনপ্রিয় মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের ‘এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকা’র তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন।