টাঙ্গাইলের মিতুর কণ্ঠে আলোচনায় ‘সব লোকে কয়’
বিশ্ব সংগীত দিবসে গতকাল শ্রোতা-দর্শকদের জন্য নতুন গান উপহার দিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা। লালন সাঁইজির ‘সব লোকে কয়’ ও ভারতীয় সাধক কবি কবির দাসের ‘কবিরা কুয়া এক হ্যায়’ দুটি গানের সমন্বয়ে কোক স্টুডিও নতুন গানের শিরোনাম করা হয় ‘সব লোকে কয়’। দুটি গানের ফিউশনে কণ্ঠ দিয়েছেন কানিজ খন্দকার মিতু ও মুর্শিদাবাদী।
গানটি প্রযোজনার পাশাপাশি সংগীতায়োজন করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। গানটি প্রকাশের পর ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
গানটি প্রসঙ্গে কানিজ খন্দকার মিতু বলেন, ‘কোক স্টুডিয়োর মতো এত বড় প্ল্যাটফর্মে লালন সাঁইজির গান করতে পেরেছি, এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এ জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই অর্ণবদার প্রতি। তিনি না থাকলে এই সুযোগটি পাওয়া হতো না। পাশাপাশি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের প্রতি। তিনি আমার পাশে ছায়ার মতো না থাকলে হয়তো এত দূর আসা সম্ভব হতো না। এ ছাড়া আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়) সংগীত বিভাগের শিক্ষকদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
মিতুর জন্ম টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার গোবিন্দাসীতে। শৈশব-কৈশর কেটেছে সেখানেই। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই গানের মধ্যে বেড়ে ওঠা তাঁর। গানের হাতেখড়ি হয়েছিল স্থানীয় ওস্তাদ সেলিম পারভেজের কাছে। এরপর দীর্ঘদিন তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের কাছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে গানের তালিম নিয়েছেন তিনি।
মিতু স্বপ্ন দেখতেন গান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। তাঁর স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপটি শুরু হয় সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় অংশ নিয়ে। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এইচএসসির পর পড়াশোনা শুরু করেন সংগীতের ওপর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন মিতু। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত তিনি।
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে মিতু জানান, কোক স্টুডিয়োর গানের মাধ্যমে যে পথচলা শুরু হলো, এই যাত্রায় পাড়ি দিতে চান অসীম দূরত্ব।
মিতু বলেন, ‘জনপ্রিয় হওয়ার চেয়ে গান দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারি।’