প্রথম সিনেমা ফ্লপ হওয়ায় আর প্রযোজনা করেননি হুমায়ুন ফরীদি
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ‘পালাবি কোথায়’ শিরোনামে একটি সিনেমাও প্রযোজনা করেছিলেন। নারীবাদী হাস্যরসাত্মক সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে।
হুমায়ূন ফরীদি প্রযোজিত একমাত্র সিনেমা এটি। এর পর আর কোনও সিনেমা প্রযোজনা করেননি এই অভিনেতা?
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের উপস্থাপনায় এনটিভির ‘কী কথা তাহার সাথে’ আয়োজনের এক পর্বে অতিথি হয়ে সেই কারণ জানিয়েছিলেন হুমায়ুন ফরীদি।
সেই সাক্ষাৎকারে হুমায়ুন ফরীদি বলেছিলেন, ‘সিনেমাটির আমি একা প্রযোজক ছিলাম না, আমরা কয়েক জন প্রযোজক ছিলাম। অভিনয় ছাড়া আমি সবকিছু কম পারি। ছবিটি চলেনি, লস হলো। আমার আর টাকা নেই তো আর প্রযোজনার কথা ভাবব কীভাবে।’
শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘পালাবি কোথায়’ সিনেমাটি কমল হাসানের তামিল ‘মাগালিত মাত্তুম’ সিনেমার পুনর্নির্মাণ, যা আবার ১৯৮০ সালের মার্কিন সিনেমা ‘নাইন টু ফাইভ’ থেকে অনুপ্রাণিত। বাংলাদেশের এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শাবানা, সুবর্ণা মুস্তাফা, চম্পা, হুমায়ূন ফরীদি, আফজাল হোসেন, আলী রাজের মতো তারকা অভিনেতারা।
হুমায়ুন ফরীদির ক্যারিয়ারের শুরু ১৯৬৪ সালে প্রথম কিশোরগঞ্জে মহল্লার মঞ্চনাটক দিয়ে। টিভি নাটকে প্রথম অভিনয় করা নাটক ‘নিখোঁজ সংবাদ’। আর প্রথম সিনেমা ‘হুলিয়া’। এর পর হুমায়ুন ফরীদি আলো ছড়িয়েছেন তিন দশক। নায়ক-খলনায়ক দুই চরিত্রেই মাতিয়ে হয়ে উঠেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা।
হুমায়ুন ফরীদি অভিনীত চরিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত বিখ্যাত ‘সংশপ্তক’ নাটকে ‘কানকাটা রমজান’ দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত হয়েছিল। ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। এ ছাড়া নৃত্যকলা ও অভিনয়শিল্পের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) লাভ করেছিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। ১৯৫২ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এই অভিনেতার মৃত্যু হয়।