প্রয়াত মাসুম আজিজ : শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা, পাবনায় দাফন
একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মরদেহ আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয় ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা শেষে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
প্রয়াতের ছেলে উৎস জামান এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে মঙ্গলবার শহীদ মিনারে রাখা হবে মাসুম আজিজের মরদেহ। সেখানে সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
মাসুম আজিজ (৭০) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মারা গেছেন।
গেল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন একুশে পদক পাওয়া এই অভিনেতা। এর সপ্তাহখানেক আগে ক্যানসারে আক্রান্ত মাসুম আজিজকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মাসুম আজিজ। চলতি বছরের শুরুর দিকে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।
মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত মাসুম আজিজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চারশর বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন।
মাসুম আজিজ ছিলেন একাধারে অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের অনেক নির্মাতার নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। সিনেমাটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।