বয়কটের সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্রের অংশ : জায়েদ খান
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিনই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন বয়কট করেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে। তবে এই সিদ্ধান্তকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন এই চিত্রনায়ক।
শনিবার সন্ধ্যায় বয়কট প্রসঙ্গে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি হাইকোর্টের রায় পেয়েই বলেছিলাম এরপর আরও ষড়যন্ত্র হবে। বয়কটের এই সিদ্ধান্ত তারই অংশ। যে কারণে আমাকে বয়কট করা হয়েছে সেটা খুবই হালকা, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। বয়কট কখন করা হয়; আমি কি কোন সংগঠন বিরোধী কাজ করেছি। ভোটের দিন অন্যরা প্রবেশ করতে পারবে না এই অনুমতি তো সোহান ভাই (১৮ সংগঠনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান) উপস্থিত থেকে নিয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে শুনে দেখতে পারেন। আমার একার কি এত ক্ষমতা আছে আমি ভোটের দিন অন্য সংগঠনের সদস্যদের প্রবেশ করতে দিব না।’
জায়েদ খান আরও যুক্ত করেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমার সাংগঠনিক কাজে কোন প্রভাব ফেলবে না।’
একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন রাখেন আজকের মিটিংয়ে তো শিল্পী সমিতির কেউ ছিল না; প্রযোজক সমিতিও নেই তাহলে ১৮ সংগঠন কিভাবে হল?
আজ সন্ধ্যায় জরুরি মিটিং শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জায়েদ খানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত জানান চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। যদিও এই মিটিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন জায়েদ খানকে বয়কটের কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন চলচ্চিত্রের বাকি সংগঠনগুলোর সদস্যদের এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যা অপমান ও লজ্জাজনক বলে দাবি চলচ্চিত্রে এই সংগঠনগুলোর। তারা তদন্ত ও নানা পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হয়েছে জায়েদ খানের জন্যই মূলত সবার প্রবেশ নির্বাচনের দিন নিষিদ্ধ করা হয়৷ তাই সম্মিলিতভাবে জরুরি বৈঠকে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রের সার্বিক কাজে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।