তারকার প্রথম
অনন্ত জলিলের প্রথম প্রেম বর্ষা
দেশের আলোচিত চিত্রনায়কদের মধ্যে অনন্ত জলিল একজন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েও তিনি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আলাপকালে এনটিভি অনলাইন জানতে চেয়েছিল জীবনের প্রথম কিছু ঘটনার কথা।
প্রথম স্কুল : প্রথমে মোহাম্মদ নূরজাহান রোডের একটি স্কুলে কিছুদিন পড়েছি। এরপর ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ হাই স্কুলে পড়েছি।
প্রথম শিক্ষক : আমার প্রথম শিক্ষকের নাম ছিল এম এ জলিল। তিনি আমাকে বাসায় এসে পড়াতেন। ছোটবেলায় আমার ডাকনাম ছিল সঞ্জু। কিন্তু আমার বাবা পরে আমার নাম পরিবর্তন করে রাখেন। নতুন নাম রাখার পেছনে একটা কাহিনীও আছে। তা হলো, আমার শিক্ষক এম এ জলিল স্যার অনেক নম্র ও ভদ্র ছিলেন। অন্যদিকে, ছোটবেলায় আমি অনেক বেশি দুষ্টু ছিলাম। আমার দুষ্টুমির জন্য সবাই অনেক বিরক্ত হতেন। পরে স্যারের নামের সঙ্গে মিল রেখে আমার নাম এম এ জলিল রাখা হয়। আর বড় ভাই আমার ডাকনাম অনন্ত রাখেন। এর পর থেকে আমি এম এ অনন্ত জলিল। মজার ব্যাপার হলো, সঞ্জু নাম পরিবর্তন করে এম এ অনন্ত জলিল রাখার পর থেকেই আমার দুষ্টুমি কমে গিয়েছিল। ছোটবেলায় দুষ্টু ছিলাম বলেই হয়তো এখন অ্যাকশন দৃশ্যের অভিনয় ভালো করতে পারি।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র : ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্রটির নাম ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’। ২০১০ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা : প্রথম ক্যামেরার সামনে যখন আমি দাঁড়াই, তখন ভাবতেই পারিনি যে অভিনয় করতে পারব! ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ ছবিতে আমার প্রথম শটটাই কান্নার দৃশ্য ছিল। ছবিতে আমার মা ভেবেছেন, আমি মারা গিয়েছি। তার চেহারায় করুণ ভাব বিরাজ করছিল। আমি এ অবস্থায় বাসায় ঢুকি এবং মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কাঁদি। আমার ইমোশনাল সংলাপ শুনে শুটিং ইউনিটের উপস্থিত সবাই কেঁদেছিলেন।
প্রথম প্রেম : সবাই প্রেমে পড়ে। আমিও পড়েছি। আমার প্রথম প্রেম ছিল বর্ষা। এখনো বর্ষাই আছে।
প্রথম বিজ্ঞাপন : গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপন করেছিলাম। বিজ্ঞাপনটির জনপ্রিয় একটি সংলাপ ছিল ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তর কাজ’। এই সংলাপ এখনো অনেকে মনে রেখেছেন।
প্রথম পারিশ্রমিক : মিডিয়ার কাজে আমার প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ২০ লাখ টাকা। প্রথম বিজ্ঞাপন করে টাকাটা পেয়েছিলাম। মনে পড়ে পুরো টাকা বর্ষাকে দিয়েছিলাম। তখন সব বিজ্ঞাপনের কাজের টাকা আমি বর্ষার কাছে রাখতাম।
প্রথম হলে দেখা চলচ্চিত্র : শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘লড়াকু’। স্কুলে পড়ার সময় প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে হলে গিয়ে ছবিটি দেখেছিলাম। তখন জসিম ও রুবেল অনেক জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন।