‘ঈদে লজ্জা থেকে বাঁচাল, সন্তানের মুখে মাংস দিল পরী মণি’
‘এফডিসিতে কাজ বলে বস্তির সবার মতো মাংস সংগ্রহ করতে পারি না। আশপাশের সবাই সকালে ব্যাগ নিয়ে মাংস সংগ্রহ করতে বের হয়, আত্মসম্মানের জন্য আমার পরিবারের কেউ তা করতে পারে না। যে কারণে ঈদের দিন সবাই মাংস খেলেও আমি সন্তানের মুখে মাংস দিতে পারিনি বেশ কয়েক বছর। তবে তিন বছর ধরে পরী মণি আমাদের জন্য এফডিসিতে কোরবানি দিচ্ছে। এখন ঈদে লজ্জা থেকে বাঁচাল, সন্তানের মুখে মাংস দিল পরী মণি। আল্লাহ যেন তাঁর হায়াত দারাজ করেন। তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ,’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেন এফডিসির প্রডাকশন বয় আবদুর রহমান।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরী মণি ২০১৬ সালে প্রথম এফডিসিতে কোরবানি দিচ্ছেন অসচ্ছল চলচ্চিত্র কর্মীদের জন্য। এরপর ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আজ সকালে তিনি কোরবানি দিয়েছেন চারটি গরু।
বিষয়টি নিয়ে সহশিল্পী মাহফুজ বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্রের অবস্থা খুব ভালো নয়, যে কারণে আমরা আগের মতো এখন আর কোরবানি দিতে পারি না। আমার এফডিসিতে কাজ করি বলে এলাকায় যে সম্মান আছে, তা নষ্টও করতে পারি না। যে কারণে ঈদের দিনটি পরিবারের কাছে আমি বিব্রতকর অবস্থায় থাকতাম। তবে পরী কোরবানি দেওয়ার পর থেকে আর তেমন বিব্রত হতে হয় না। অন্তত তাদের মুখে দুই টুকরা মাংস তুলে দিতে পারি।’
চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির শুটিংয়ের ব্যস্ততায় ঢাকার বাইরে থাকতে হয়েছে। ঈদের আগের রাতে নানাকে নিয়ে রাজধানীর কমলাপুর গরুর হাটে যান পরী। হাটে গিয়ে নিজেই দেখেশুনে ক্রয় করেন চারটি গরু।
মুক্তির আগেই ২৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন যিনি, তাঁর নাম পরী মণি। মডেলিং থেকে ছোটপর্দায় এবং তারপর রুপালি পর্দায় অভিনয় শুরু করেন পরী মণি। শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।