অভিনয় জীবনে বিরাটের কোনো প্রভাব নেই : আনুশকা
বড়পর্দায় সোজাসাপ্টা আর সপ্রতিভ অভিনয়ের জন্য আনুশকা শর্মার আলাদা রকম খ্যাতি আছে। বাস্তব জীবনে সেটা নেহাত কম নয়, বরং আরো বেশি। এনডিটিভির উপদেষ্টা সম্পাদক, ভারতের ডাকসাইটে সাংবাদিক বরখা দত্তের সঙ্গে কথোপকথনে ভারতীয় সেন্সরবোর্ডকে সোজাকথায় একেবারে কচুকাটা করেছেন আনুশকা। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে বলিউডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একদম সোজাসাপ্টা ভাষায় কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। এনডিটিভির কাছে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এখন কেমন হয়, সেটাই দেখার বিষয়।
সেন্সরবোর্ড প্রসঙ্গ
নতুন খবর হলো, প্রথমবারের মতো প্রযোজনায় নাম লিখিয়েছেন আনুশকা। অভিনয়ও করেছেন ‘এনএইচ১০’ নামের এক থ্রিলারে। কিন্তু যখন তিনি প্রযোজনায় আসার সিদ্ধান্ত নেন, অনেকেই নাকি তাঁকে সতর্ক করেছিলেন, পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রযোজনায় না আসতে। ‘কিন্তু কেন?’ প্রশ্ন ছিল আনুশকার। পরামর্শকদের জবাব, ‘আগে তো কখনো এ কাজটা করোনি।’ কিন্তু এতে দমার পাত্রী নন তিনি। ‘তার মানে এই নয় যে যেটা করা হয়নি, সেটা কখনোই করব না, আর যা করেছি সেটাই কেবল করে যাব। আমি এই রোলটায় (এনএইচ১০ ছবির চরিত্র প্রসঙ্গে) বিশ্বাস করেছি এবং চেয়েছি গল্পটা বলতে। এ জন্যই প্রযোজনায় এসেছি।’
চলচ্চিত্রের ওপর সেন্সরবোর্ডের কাঁচি চালানো আর নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রবণতাকে কড়া সমালোচনা করেছেন আনুশকা, ‘আমরা এই নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মানসিকতাকে লালন-পালন করে বড় করছি। মানুষকে এতটাই বিরক্ত করা হচ্ছে যে তাঁদের এখন দমবন্ধ অবস্থা। দেখুন, আমরা লেখাপড়া জানা শিক্ষিত মানুষ। কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক নয়, সেটা আমরা ভালোই বুঝি। কাজেই নির্দিষ্ট কোনো একটা বিশ্বাস গোঁড়ার মতো আঁকড়ে না থেকে বরং আমাদের কথাগুলো আমাদেরই ভাবতে দিন।’
সেন্সরবোর্ডের উদ্দেশে ছবি নিষিদ্ধ না করে বরং ছবিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান আনুশকা। ‘সিনেমায় যাই থাকে, কোনো না কোনো কারণেই থাকে। বাস্তবের পরিস্থিতিই সিনেমায় ফুটে ওঠে’, এ বিষয়ে মন্তব্য তাঁর। সেন্সরবোর্ডের কারণে নির্মাতাদের ভিত হয়ে থাকার কোনো মানে খুঁজে পান না তিনি। তাঁর মতে, সেন্সরবোর্ডের এই নিষিদ্ধ করার মানসিকতা দিন দিন সবার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। একই সঙ্গে সেন্সরবোর্ডের প্রধান পংকজ নিহালিনীর হাতে পুরো ক্ষমতা থাকার বিষয়টিও সমালোচনা করেন তিনি। ‘একজন মানুষ আমাদের সব ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলতে পারেন, এ বিষয়টাই আতঙ্কদায়ক’, মন্তব্য আনুশকার।
বিরাট কোহলি প্রসঙ্গ
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে মোটেও পছন্দ করেন না আনুশকা। ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অনেকটা শুরু থেকেই স্পষ্টভাষী ছিলেন, এখনও তাই। বিরাটের পারফরম্যান্স খারাপের কারণ হিসেবে তাঁকে দায়ী করাটা একেবারেই নিচু এবং ফালতু মানসিকতার পরিচয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে সাফ সাফ বলে দিয়েছেন, ‘দেখুন, আমরা পরিণত এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। কাজেই নিজেদের জীবন কীভাবে চালাতে হবে, সেটা আমরা ভালোই জানি।’ আবার তাঁর পেশাদারি অভিনয় জীবনে বিরাটেরও কোনো প্রভাব নেই বলে জানান তিনি।