সাতটি তারার তিমিরে দুই বান্ধবী, টয়া ও মৌসুমি
কখনোই মঞ্চনাটক করেননি টয়া। এ নিয়ে একটু আফসোস আছে তাঁর কিন্তু সেই আফসোস কিছুটা হলেও এবার পূরণ হয়েছে। আফসানা মিমি ও রাকেশ বসুর পরিচালনায় ‘ডলস হাউস ২ : সাতটি তারার তিমির’ নাটকে মঞ্চ নাট্যকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন টয়া। নাটকে টয়ার চরিত্রের নাম নন্দিনী।
এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে টয়া বলেন, ‘নাটকের গল্পের প্রয়োজনে মঞ্চের অনেক দৃশ্য আমাকে করতে হচ্ছে। মঞ্চে কাজ করার কখনো সুযোগ হয়নি আমার। এখানে কাজ করতে এসে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখছি। মঞ্চ সম্পর্কেও অনেক ধারণা হচ্ছে। বলতে পারেন মঞ্চনাটকের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। কখনো সুযোগ পেলে সত্যি সত্যি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতে চাই।’
উত্তরার একটি শুটিং হাউসে ‘সাতটি তারার তিমির’ নাটকে টয়ার চরিত্র নন্দিনীর পরিবারের প্রথম দৃশ্য ধারণের শুটিং চলছে আজ। নন্দিনী সব সময় অনেক সত্য কথা বলেন। এত বেশি বই পড়েন যে দেশ-বিদেশের অনেক খবর জানাশোনা তাঁর। এ জন্য নন্দিনীকে তাঁর বন্ধুরা গুগলি বলে ডাকেন। বন্ধুদের দাবি, গুগলের চেয়ে নন্দিনী অনেক ভালো জানে। এভাবে নন্দিনী চরিত্রের একটানা বর্ণনা করলেন অভিনেত্রী টয়া।
টয়া বলেন, ‘এই নাটকে আমরা সবাই পরিবারের মতো। সবার সঙ্গে আমার সখ্য অনেক বেশি। স্বর্ণা, জয়িতা, সানজিদা সবাই অনেক ভালো।’
আর মৌসুমি? টয়া বলেন, ‘ও তো আমার জানের দোস্ত। আমরা একসঙ্গে লাক্স থেকে এসেছি। তখন থেকে আমাদের বন্ধুত্ব শুরু। আমরা একে অপরের দারুণ বন্ধু। সহকর্মী হিসেবেও মৌসুমি একশতে একশ। জানেন মৌসুমি তাঁর মেয়ের নাম রাখবে টয়া।’ এর কারণ কি? টয়া যোগ করলেন, ‘কারণ মৌসুমি আমাকে অনেক ভালোবাসে।’
টয়া সত্যি কথা বললেন কিনা তা জানতেই মৌসুমিকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি কি আপনার মেয়ের নাম সত্যি টয়া রাখবেন? নাকি এখন বলছেন, পরে ভুলে যাবেন?
মৌসুমির দৃঢ় জবাব, ‘সত্যি আমার মেয়ের নাম টয়া রাখতে চাই। কারণ টয়ার মতোই একটা লক্ষ্মী মেয়ে আমার দরকার।’
এই নাটকে মৌসুমি শিক্ষিকা। তিনিও সাতটি তারার তিমিরের একজন তারা। এই তারার মেলায় শুটিংয়ের ফাঁকে এভাবেই চলে আড্ডা আর কাজ একসাথে।
নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন নজরুল ইসলাম। নাটকটি এটিএন বাংলায় সপ্তায় চারদিন শনি থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে।