তারকার প্রথম
ক্লাস ওয়ানে প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন ওম
এ সময়ের কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক ওম। নায়ক হিসেবে ওম এপারেও বেশ পরিচিত। কিছুদিন আগে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন বিভিন্ন প্রসঙ্গে। সেখান থেকেই আপনাদের জানাচ্ছি ওমের জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম বিষয়গুলোর কথা।
প্রথম স্কুল
আমার প্রথম স্কুলের নাম ছিল লিটল স্টার।
প্রথম শিক্ষক
মিতা আন্টি ছিলেন আমার স্কুলের প্রথম ক্লাস টিচার। তিনি আমাদের স্কুলের প্রিন্সিপালও ছিলেন। আমরা স্কুলের শিক্ষকদের আন্টি বলেই ডাকতাম। মিতা আন্টির হাজবেন্ড ছিলেন স্কুলের চেয়ারম্যান। আমরা দুষ্টুমি করে মিতা আন্টিকে বিগ আন্টি ও উনার হাজবেন্ডকে বিগ আঙ্কেল বলে ডাকতাম। তাঁরা দুজনই অনেক স্মার্ট ছিলেন। আমাকে তাঁরা খুব আদর করতেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমি তাঁদের খুব ভয় পেতাম। কারণ, পড়াশোনায় আমি খুব একটা ভালো ছিলাম না । এ জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক মার খেয়েছি আমি। মা-বাবাও অনেক বকতেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি ক্লাস সেভেন পর্যন্ত অনেক মার খেয়েছি।
প্রথম প্রেম
ক্লাস ওয়ানে পড়ার সময় প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম আমি। আমার ক্লাসেই পড়ত সেই মেয়ে। তাঁর নাম এখন আর মনে করতে পারছি না। মেয়েটি কিন্তু আমাকে ভালোবাসেনি। সেটা ছিল ওয়ান সাইডেড লাভ। একটা গোপন কথা বলি, আমি জীবনে বহুবার প্রেমে পড়েছি; কিন্তু ভালোবেসেছি একজনকেই।
প্রথম পারিশ্রমিক
ছোটবেলায় আমি স্বপ্ন দেখতাম, চিত্রশিল্পী হব। আমার আঁকা ছবির প্রদর্শনীও হয়েছে। তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়তাম। স্কুলের ছাত্রদের আঁকা ছবি নিয়ে এক প্রদর্শনীতে আমার ছবি সেরা হয়েছিল। এ জন্য আমি ৪০ রুপি পেয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক। ৪০ রুপি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম। খুব মজা হয়েছিল।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র
আমি প্রথম অভিনয় করেছি ‘কালিংপঙে সীতাহরণ’ শিরোনামে একটি চলচ্চিত্রে। এটা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র ছিল না।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা
একটা অডিশন দেওয়ার জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। খুব ভয় পেয়েছিলাম সেদিন। ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপাকাঁপি করেছিল। এখন আর ক্যামেরা ভয় পাই না। ক্যামেরার সঙ্গেই এখন সবচেয়ে ভালো বন্ধুত্ব।