পিংক ফ্লয়েডের ১০ কথা
রক সংগীতের ইতিহাসে ‘পিংক ফ্লয়েড’ এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। প্রোগ্রেসিভ আর সাইকাডেলিক মেটাল রক ঘরানার এই জাদুকরি ব্রিটিশ ব্যান্ড গঠিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। এই দলের সদস্যরা হচ্ছেন রজার ওয়াটার্স, ডেভিড গিলমোর, সিড ব্যারেট, রিচার্ড রাইট ও নিক ম্যাসন। ব্লুগেপ অবলম্বনে পিংক ফ্লয়েড ব্যান্ডটির কিছু বিচিত্র তথ্য জেনে নিন।
১. ১৯৬৩ সালে লন্ডন পলিটেকিনকে দেখা হয় রজার ওয়াটার্স, নিক ম্যাসন ও রিচার্ড রাইটের। তাঁরা তখন স্থাপত্যবিদ্যার ছাত্র। এই ব্যান্ডে পরে যোগ দেন সিড ব্যারেট।
২. পিংক ফ্লয়েড নামটি দিয়েছিলেন ব্যান্ডের লিড ভোকাল সিড ব্যারেট। দুই বিখ্যাত গিটারিস্ট পিংক অ্যান্ডারসন আর ফ্লয়েড কাউন্সিলের নাম থেকেই এই ‘পিংক ফ্লয়েড’ নামকরণ।
৩. নিজেদের প্রথম সিঙ্গেল ট্র্যাক ‘আর্নল্ড লেন’ রেকর্ড করার পর সংগীত প্রতিষ্ঠান ইএমআইয়ের সাথে প্রথম রেকর্ডের চুক্তি করে ব্যান্ডটি। এটা ১৯৬৭ সালের কথা।
৪. ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবামের নাম ‘দ্য পাইপার অ্যাট দ্য গেটস অব ডন’, সময়কাল ১৯৬৭। মজার বিষয় হচ্ছে, একই সময়ে বিটলস ব্যান্ডের ‘সার্জেন্ট পিপার’স লোনলি হার্টস ক্লাব ব্যান্ড’ অ্যালবামটির রেকর্ডিংয়ের কাজ চলছিল!
৫. ব্যান্ডটির প্রথম লাইভ কনসার্ট হয়েছিল লন্ডনের হাইড পার্কে। সময়কাল ২৯ জুন, ১৯৬৮।
৬. এই দলের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সদস্য হচ্ছেন নিক ম্যাসন। তবে এই ব্যান্ডের একটিমাত্র গানে তার কণ্ঠ শোনা গেছে, তাও মোটে এক লাইন!
৭. তাদের ‘দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য মুন’ অ্যালবামটি সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল অ্যালবামের মধ্যে তৃতীয়। বিলবোর্ডের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে চলা অ্যালবাম, চলেছিল প্রায় ৮০০ সপ্তাহ!
৮. বিলবোর্ডের সেরা চালু (হট) ১০০ গানের তালিকায় একবারই শ্রেষ্ঠ হয়েছিল তারা, ১৯৭৯ সালে। গানটি কী ছিল নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারেন-‘অ্যানাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল’!
৯. ব্যান্ডটির শেষ দুটি অ্যালবাম রেকর্ড হয়েছিল ডেভিড গিলমোরের এ বোটহাউসের ভেতরে বানানো স্টুডিওতে। স্টুডিওটির নাম ‘অ্যাস্টোরিয়া’।
১০. পিংক ফ্লয়েডের ১৯৮৮ সালের লাইভ অ্যালবাম ‘ডেলিকেট সাউন্ড অফ থান্ডার’ মহাকাশে বাজানো প্রথম রক রেকর্ড। ‘সয়ুজ টিএম-৭’ মিশনে রাশিয়ান মহাকাশচারীরা এমআইআর স্পেশ স্টেশনে যাওয়ার সময়ে এই অ্যালবামটি নিয়ে গিয়েছিলেন!