রেকর্ড গড়ছে ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭
প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে দর্শকের ভালোবাসা। জনপ্রিয় সিকুয়াল ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’-এর সপ্তম কিস্তি মাত করেছে সারা বিশ্ব। ছবির অন্যতম অভিনেতা পল ওয়াকার ২০১৩ সালে মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। মৃত্যুর আগে এই ছবির কাজ অনেকটাই শেষ করে এনেছিলেন তিনি। পল ওয়াকারের শেষ ছবি এবং বরাবরের মতো দুর্দান্ত সব অ্যাকশনের কারণে ছবিটি নিয়ে দর্শকের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী।
আর সে কারণে নতুন রেকর্ড গড়েই শুরু হলো ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সেভেনের বক্স অফিসে পথচলা। রয়টার্স জানিয়েছে, ৩ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার পর সপ্তাহ শেষে প্রায় ১৫ কোটি ডলার আয় করেছে ছবিটি। এই আয় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে, এর বাইরে সারা পৃথিবীতেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। যদিও ছবিটির বৈশ্বিক আয়ের হিসাব এখনো বক্স অফিসে পৌঁছায়নি।
প্রথম সপ্তাহে আয়ের এটি নতুন রেকর্ড। এর আগে সাড়ে নয় কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড ছিল ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা : দ্য উইন্টার সোলজার’ ছবিটির।
বক্স অফিস ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান বিশ্লেষক ফিল কনট্রিনো বলেছেন, ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজের মধ্যে শুরুর সপ্তাহে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করেছে এই ছবি। পলের মৃত্যু দর্শককে কাঁদিয়েছে। পলকে পর্দায় দেখতেই দর্শক হলে এসেছেন। ছবিটি হাজার কোটি ডলার ব্যবসা করবে।’
ছবির প্রযোজনা সংস্থা ইউনিভার্সাল পিকচার্স ছবিটি নির্মাণে কোনো কার্পণ্য করেনি। ছবিটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ডলার। উত্তর আমেরিকার চার হাজার হলে মুক্তি পেয়েছে সপ্তম সিকুয়ালটি। এর বাইরে ৬৩টি দেশের সাড়ে ১০ হাজার সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
ধারণা করা হচ্ছে, পুরো এপ্রিল মাসেই বক্স অফিসে রাজত্ব করবে ফাস্ট সেভেন। ১ মে মুক্তি পাবে ‘দি অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজের ‘এইজ অব আলট্রন’ ছবিটি। এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে ফাস্ট সেভেনের। তবে এর আগেই তাদের আয় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বক্স অফিস বিশ্লেষকরা।