জিনিয়াস জিনিয়া
দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন মঞ্চনাটকে। এখন ছোটপর্দায় অভিনয়েই পার করছেন ব্যস্ত সময়। অনেক বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন। নাচেন ভালো। গানের গলাও বেশ মিষ্টি। এতদিন সেভাবে গান না গাইলেও চেষ্টা করছেন গান নিয়ে ভালো কিছু করার।
একের মাঝে যাঁর এত গুণের সমাহার, তাঁর নাম জিনিয়া খন্দকার। এ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী। ‘জিনিয়াস খন্দকার’ বললেও নিশ্চয়ই অত্যুক্তি হবে না।
গত রাতে কথা হচ্ছিল জিনিয়ার সঙ্গে। এত গুণের প্রসঙ্গ আসতেই হেসে বললেন, ‘আল্লাহ আমাকে সব গুণই দিয়েছেন। অভিনয়, মডেলিং তো করেই যাচ্ছি। বিভিন্ন নাটকের দৃশ্যে নেচেছি। আইটেম গানেও নেচেছি। এখন গান নিয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছে আছে। একটু সময় পেলেই গানের অনুশীলন করছি। ইচ্ছে আছে অ্যালবাম বের করার, নিজের গাওয়া গানের মিউজিক ভিডিও করার।’
জিনিয়ার শুরুটা খুব বেশি দিনের নয়। আড়াই বছরের মতো হবে। তবে সময়ের তুলনায় তাঁর কাজের পাল্লাটা ভারী। মিডিয়ায় শুরু সম্পর্কে জিনিয়া বললেন, ‘মধুমতি উপন্যাস অবলম্বনে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের করা ছবিতে প্রথম কাজ করি আমি। সেখানে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারি, আমি ভালো অভিনয় করি। সেখান থেকে সবার সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর তো প্রচুর নাটক করেছি।’
জিনিয়ার প্রথম নাটক কায়সার আহমেদের ‘অবগুণ্ঠন’। এর পর কায়সার আহমেদ পরিচালিত ‘উত্তরাধিকার’, সৈয়দ শাকিল পরিচালিত ‘স্ক্যান্ডাল’, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব পরিচালিত ‘পালাবার পথ নেই, মানিক মানবিক পরিচালিত ‘সংসার সুখের হয় বেদনার গুণে’, শহীদুজ্জামান সেলিম পরিচালিত ‘ডিবি’, মোহন খান পরিচালিত ‘নীড় খোঁজে গাংচিল’, মাহফুজ আহমেদ পরিচালিত ‘মাগো তোমার জন্য’, হাফিজউদ্দিন পরিচালিত ‘সাত পুরুষের ঢাকা’, সঞ্জীব সরকার পরিচালিত ‘মামাবাড়ির আবদার’সহ প্রচুর নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
জিনিয়া জানান, এ মুহূর্তে তাঁর অভিনীত পাঁচটি ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে। কাজ চলছে সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘দি ভিলেজ ইঞ্জিনিয়ার’সহ তিন-চারটি ধারাবাহিক নাটকের। ‘হাই ফ্যাশন গ্যালারি’, ‘হুইল’, ‘প্রাণ পটেটো ক্র্যাকার্স’সহ ১০-১২টি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন। মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন টানা দুই বছর। তবে অভিনয়ের ব্যস্ততার মধ্যে মঞ্চে কাজ করার সময় আর পাচ্ছেন না।
এত কাজের মধ্যেও একটা আক্ষেপ রয়ে গেছে জিনিয়ার—জনপ্রিয় মুখ না হয়ে ওঠার আক্ষেপ। বললেন, ‘আমি অনেক নাটক করেছি। মামুনুর রশীদ, সালাউদ্দিন লাভলুসহ দেশের বড় বড় পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছি। অথচ মানুষ সেভাবে আমাকে চেনে না। সমস্যা হচ্ছে, আমি বাস্তবে দেখতে এক রকম, টিভি পর্দায় আরেক রকম। আমার নাটক, টিভি বিজ্ঞাপন দেখার পরও অনেকে প্রশ্ন করে, ও সেটা তুমি? মাঝেমধ্যে খুব দুঃখ হয়।’