সালমানের সামনে আরো বিপদ!
হত্যার ঘটনায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় ‘সাসপেন্ড’ করা হলেও বিপদমুক্ত হচ্ছেন না তিনি। তাঁর নামে আছে আরো কয়েকটি ‘কঠিন’ মামলা। সেসব থেকেও যে একইভাবে জামিন পেয়ে যাবেন, সেটা কিন্তু বলা যাচ্ছে না।
জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খানের ইতিহাস ঘাঁটলে শুধু ওই গাড়িচাপায় হত্যাকাণ্ডই নয়, ইচ্ছাকৃত প্রাণী হত্যার ঘটনাও আছে। অনিচ্ছায় মানুষ মারলেও স্বেচ্ছায় বিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী মেরেছেন এই তারকা। আর সে জন্য তিনটি মামলার আসামি।
১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং করতে যান সালমান খান। সে সময় তিনি ও তাঁর সহ-অভিনেতারা গুলি করে হত্যা করেন রাজস্থানে সংরক্ষিত প্রজাতির বন্য প্রাণী চিনকারা ও কালো হরিণ। এতে চোরাশিকারের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ সালমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। একই ঘটনায় বন বিভাগ বিপন্ন প্রজাতির প্রানী হত্যার দায়ে দুটি মামলা করে।
তেহেলকা ডটকম জানিয়েছে, চিনকারা ও কালো হরিণ চোরাশিকারের মামলায় এরই মধ্যে পাঁচ ও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এবারও গল্পটা আগের মতো। অন্য সব মামলার মতো এই মামলাতেও সালমান খান জামিনে বেরিয়ে গেছেন এবং আপিল শুনানি হাইকোর্টে মুলতবি হয়ে আছে। তবে আগামী ২৮ মে অস্ত্র আইনে করা মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ নতুন একজন সাক্ষীকে হাজির করায় ঘটনাটি আরো অনেক দূর গড়াবে বলে মনে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বলা যায়, এই দাবাং তারকাকে সামনে সত্যিই কঠিন সময় পার করতে হবে। তবে আগামী ১৪ মে রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাক্ষীকে জেরা করতে আদালতে একটি আবেদন করেছে আসামিপক্ষ।
জেরা ও শুনানি শেষে বোঝা যাবে, সালমানের ঘটনাবহুল জীবনে আর কত ধরনের মোড় আসবে বা আসতে যাচ্ছে।
২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে শুয়ে থাকা মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেন সালমান খান। সেদিন নিহত হন একজন। গুরুতর আহত হন আরো চারজন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ১৩ বছর পর গত ৬ মে অনিচ্ছাকৃত এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারপতি ডি ডব্লিউ দেশপাণ্ডে। তবে গতকাল শুক্রবার সালমানের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায়টি ‘সাসপেন্ড’ করে দেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি অভয় থিপসে।
আগামী জুলাই মাসে সালমানের আপিলের শুনানি হবে। তাই সে পর্যন্ত জেলে যেতে হচ্ছে না তাঁকে। তবে হরিণ শিকার ও অস্ত্র আইনে মামলার কী পরিণতি দাঁড়ায় সেটার ওপরই নির্ভর করছে তার পরবর্তী অবস্থা।